স্পোর্টস ডেস্ক:
মোস্তাফিজ-রুবেলদের নিয়ে কাজ করেছিলেন কিংবদন্তী ক্যারিবীয় পেস বোলার কোর্টনি ওয়ালশ। তিনি বাংলাদেশে আসার পর যতটা আশা দেখেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট তার ছিটেফোঁটাও পূরণ হয়নি। এবার ফিজদের বোলিং শিক্ষক হয়ে এসেছেন প্রোটিয়া পেস বোলার চার্লস ল্যাঙ্গাভেল্ট। ওয়ালশের মতো তারকা খেলোয়াড় না হলেও জাতীয় দলের হয়ে কোচিংয়ের অভিজ্ঞতা আছে তার।
ল্যাঙ্গাভেল্টের মিশন শুরু হয়ে গেছে আজ থেকে। তবে ক্রিকেটারদের কন্ডিশনিং ক্যাম্প চলাতে হাতে-কলমে এখনো কাজ শুরু করতে পারেননি। সময় কাটিয়েছেন ক্রিকেটারদের সঙ্গে। প্রথম দিনের কাজ হিসেবে পরিচয় পর্ব সেরে নিয়েছেন। তবে আফগানিস্তান জাতীয় দলের হয়ে কাজ করা এই কোচ বাংলাদেশে কোচিং করাটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন। তার মতে আছে অনেক বাধা-বিপত্তিও।
‘এখানেও চ্যালেঞ্জ রয়েছে। যে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি আমি আফগানিস্তানে কোচিং করানোর সময় হয়েছিলাম’-আজ বুধবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে এভাবেই অকপটে বলে দিলেন চ্যালেঞ্জের কথা।
ভিনদেশী কোচের জন্য এই উপমহাদেশে কাজ করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা হলো ভাষা। ভাষা বাধা হবে কি না প্রশ্ন উঠতেই ল্যাঙ্গাভেল্ট হ্যাঁ সূচক মন্তব্য করলেন। পরে যেটা বললেন সেটা আরও ভয়ঙ্কর। এই প্রোটিয়া মনে করেন অনেকে না বুঝেও ইয়েস বলেন।
ল্যাঙ্গাভেল্ট বলেন, ‘আমি আফগানিস্তানেও এই বাধার মুখোমুখি হয়েছি। গ্রুপে কথা বলার চেয়ে একজন করে কথা বলাই ভালো। আমার এমনও অভিজ্ঞতা আছে, আফগানিস্তানে অনেক খেলোয়াড় না বুঝেই ইয়েস বলে দিতো।’
সমস্যা থাকলে সমাধানও আছে। ভাষা যাতে বাধা না হয় এজন্য কীভাবে কাজ করবেন তাও বলেছেন ল্যাঙ্গাভেল্ট। তিনি বলেন, ‘আমি একজন করে কথা বলব। যাতে কেউ না বুঝলেও পরে আবার তাকে বুঝানো যেতে পারে। ধীরে ধীরে কথা বলে বোঝাতে হবে। তার চেয়ে বড় জিনিস হলো খেলোয়াড়দের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। যত ভালো সম্পর্ক হবে তত সহজেই বুঝতে পারবে।’
আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট ও ত্রিদেশীয় সিরিজ দিয়ে শুরু হবে ল্যাঙ্গাভেল্টের মিশন। একমাত্র টেস্টটি ৫ থেকে ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে।
এ ছাড়া ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে ২৪ সেপ্টেম্বর ফাইনালের মধ্য দিয়ে শেষ হবে ত্রিদেশীয় সিরিজ। বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের সঙ্গে এই সিরিজের অন্য দলটি হলো জিম্বাবুয়ে। খেলাগুলো হবে ঢাকায় মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম ও জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। সময়ই বলে নতুন বোলিং কোচের নতুন মিশন সুখকর হয় কিনা।